আশা প্রকল্পের সাথে যুক্ত স্বাস্থ‍্য কর্মীরা আন্দোলনে : বেতন কাঠামো পরিবর্তন সহ নিরাপত্তার দাবী

12th November 2020 2:33 pm বাঁকুড়া
আশা প্রকল্পের সাথে যুক্ত স্বাস্থ‍্য কর্মীরা আন্দোলনে : বেতন কাঠামো পরিবর্তন সহ নিরাপত্তার দাবী


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  অবিলম্বে বেতন কাঠামোর পুনর্বিন্যাস, চাকুরির নিশ্চয়তা প্রদান, সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগ সহ একাধিক দাবীতে জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দিল বাঁকুড়া জেলার ব্লক আশা ফ্যাসিলিটেটর (BAF)  ও জেলা আশা  ফ্যাসিলিটেটররা। এদিন তাঁরা মিছিল করে জেলা শাসকের দফতরের সামনে জড়ো হয়, তারপর তারা তাদের দাবী পত্র  জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়। উল্লেখ্য,বর্তমানে স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে 'আশা' কর্মীদের সুপার ভাইজার হিসাবে ব্লকে জেলায় কাজ করেন এই কর্মীরা। তবে আন্দোলন কারীদের অভিযোগ, আশা কর্মসূচীর জন্য নিয়োগ হলেও অনান্য সমস্ত কাজই তাঁদের করতে হয়। মাতৃ মৃত্যু, শিশু মৃত্যুর হার কমানো থেকে, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার বৃদ্ধি কাজে সহযোগিতা থেকে  বর্তমান কোভিড পরিস্থিতেও সামনের সারিতে থেকে কাজ করছেন তাঁরা। এলাকায় গিয়ে  লালারস  সংগ্রহের টিমের সাথে থেকে কাজ করা থেকে শুরু করে  ডাটা এন্ট্রি, সমস্ত কাজ করলেও তাঁরা বঞ্চিত বলে অভিযোগ আন্দোলন কারীদের। অভিযোগ, ২০০৮ সালের বেতন কাঠামো অনুযায়ী মাসিক ৭৫০০ নিয়োগ হলেও আজ পর্যন্ত কোন পরিবর্তন হয়নি। বর্তমান দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির বাজারে সংসার চালানোই কঠিন। আন্দোলন কারীদের অভিযোগ, গত তিন বছর ধরে প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্য দফতর প্রতিটি জায়গায়  বার বার আবেদন জানানো হয়েছে, কোন কাজ হয়নি। অথচ অনান্য স্বাস্থ্য কর্মী, এমনকি আশা কর্মীদের ও  বেতন কাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু  উনারা শুধু আমাদের প্রতিশ্রুতিই দিয়েগেছে। তবে অবিলম্বে বেতন কাঠামোর পরিবর্তন না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।